চলতি বছরের এইচএসসি পরীক্ষা আগামী ৬ নভেম্বর থেকে শুরু হবে। এইচএসসি তত্ত্বীয় পরীক্ষা শেষ হবে আগামী ১৩ ডিসেম্বর। ১৫ ডিসেম্বর শুরু হবে ব্যবহারিক পরীক্ষা। ব্যবহারিক পরীক্ষা শেষ হবে ২২ ডিসেম্বর। চলতি বছর এইচএসসিতে প্রতিটি পত্রে পরীক্ষার্থীদের দুই ঘণ্টার পরীক্ষায় বসতে হবে। সকালের পরীক্ষা শুরু হবে বেলা ১১টায়। লিখিত পরীক্ষায় শেষ হবে দুপুর ১টায়। আর দুপুরে অনুষ্ঠিতব্য পরীক্ষাগুলো দুপুর ২টায় শুরু হবে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে। পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে।
সোমবার এ পরীক্ষার রুটিন প্রকাশ করেছে ঢাকা বোর্ড।
ঢাকা মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড প্রকাশিত সূচিতে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে ১১ দফা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। রুটিনে প্রকাশিত নির্দেশনায় বলা হয়েছে, পরীক্ষা শুরুর ৩০ মিনিট পূর্বে অবশ্যই পরীক্ষার্থীদেরকে পরীক্ষা কক্ষে আসন গ্রহণ করতে হবে। প্রথমে বহুনির্বাচনী ও পরে সৃজনশীল বা রচনামূলক (তত্ত্বীয়) পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। বহুনির্বাচনী পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২০ মিনিট এবং সৃজনশীল পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট। পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত চলবে। বহুনির্বাচনী ও রচনামূলক অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না।
বোর্ড আরও জানিয়েছে, সকাল ১১টায় থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে সকাল সাড়ে ১০টায় অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনী ওএমআর শিট বিতরণ করা হবে। সকাল ১১টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ। সকাল ১১ টা ২০মিনিটে বহুনির্বাচনী উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে দুপুর ১টা ৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনীর ওএমআর শিট বিতরণ। দুপুর ২টায় বহুনির্বাচনী প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র (ওএমআর শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ করা হবে। প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে।
বোর্ড আরও জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের কাছ থেকে সংগ্রহ করবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তার পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবে। কোন অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না। পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনী ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে। প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশ পত্রে উল্লিখিত বিষয়গুলোতে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে। কোন অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবে না। কোন পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ বা প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে।
বোর্ড আরও জানিয়েছে, পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর (Non programmable) ব্যবহার করতে পারবে। প্রোগ্রামেবল ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না। পরীক্ষা কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোন পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবে না।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস